৮ ই অক্টোবর নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে মহামিছিল বিজেপি যুব মোর্চার

30th September 2020 5:09 pm বাঁকুড়া
৮ ই অক্টোবর নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে মহামিছিল বিজেপি যুব মোর্চার


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের ফলাফলে উজ্জীবিত গেরুয়া শিবির আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্য বিধানসভা দখলের লড়াইয়ে নেমে পড়লো। যুব মোর্চার ডাকে নবান্ন চলো স্লোগানকে সামনে রেখে যুব মোর্চার তরফে ৮ অক্টোবর নবান্ন অভিযানের প্রচারে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরে বুধবার বিশাল মিছিল করলো বিজেপি। রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর নেতৃত্বে বিষ্ণুপুর বাসস্ট্যাণ্ড থেকে মিছিল শুরু হয়ে সারা শহর ঘুরে ঐ জায়গাতেই শেষ হয়।

মিছিল চলাকালীন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ, বাংলায় চাকরী, শিল্প, কৃষি সুরক্ষা ও মানুষের শান্তির দাবিতে আগামী ৮ অক্টোবর নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এদিনের মিছিলে মানুষের অংশগ্রহণই প্রমাণ করে কৃষি বিলে তাদের সমর্থণ রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

মিছিলে উপস্থিত দলের রাজ্যস্তরীয় নেতা সায়ন্তন বসু রাজ্য পুলিশকেও এক হাত নেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, আমাদের সভার অনুমতি না দিলে থানায় ঢুকে বড়বাবুর চেয়ার টেবিল নিয়ে থানার ছাদে উঠে বক্তৃতা করবো। একই সঙ্গে বর্তমান সময়ে বিজেপি কর্মীদের কেস দিলে তারা ক্ষমতায় এলে পুলিশের কি হাল হবে সেবিষয়টিও ইঙ্গিত দেন তিনি। সায়ন্তন বসু বলেন, সকালে উঠে দেখবেন বিষ্ণুপুর থেকে কালিম্পং বদলী হয়ে গেছেন। কালিম্পং যেতে যেতে রাস্তায় খবর পেলেন দীঘায় আসতে হবে। দীঘায় যেতে যেতে শুনবেন ফারাক্কায় যেতে হবে। এইভাবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মীদের জীবনটা ট্রেনে বাসে কেটে যাবে বলে আগাম হুঁশিয়ারী দেন তিনি।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।